আজকের আর্টিকেলের বিষয় গর্ভাবস্থা (Pregnancy)। আজকের এই আর্টিকেলটি তাদের জন্য যারা দ্রুত ও সহজে গর্ভধারণ করতে চান ,অথবা যারা গর্ভধারণ করতে চাচ্ছেন দীর্ঘদিন ধরে কিন্তু গর্ভধারণ করতে পারছেন না , কিংবা আপনি গর্ভবতী কিন্তু আপনার গর্ভে ছেলে নাকি মেয়ে সেটা কোনো মেডিকেল টেস্ট করানো ছাড়াই কিভাবে বুঝবেন ? আমি আজকে এই পোস্টটিতে আপনাদের জন্য কিছু জিনিস কাভার করার চেষ্টা করব যেমন-
- আপনার ওভুলেশন অথবা ডিম্বপাতের সঠিক সময়?
- কোন সময় আপনি স্বামীর সাথে মিলিত হলে গর্ভবতী হতে পারবেন?
- গর্ভবতী হওয়ার জন্য সঠিক সময় কি?
- কত দিন পর্যন্ত আপনি গর্ভধারণের চেষ্টা করার পর চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত?
- প্রেগনেন্ট হওয়ার পর কিভাবে বুঝবেন আপনার গর্ভে ছেলে নাকি মেয়ে?
আপনি গর্ভধারণ পরিকল্পনা করার পূর্বেই আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে প্রয়োজনীয় কিছু টেস্ট করিয়ে নেবেন কারন আপনার শরীরে হিমোগ্লোবিন কেমন আছে ,ডায়াবেটিস আছে কি না এগুলো আপনার গর্ভধারণ করার পূর্বেই জানা উচিত। যাতে আপনার ও আপনার শিশুর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। এবারে আপনি গর্ভধারণের চেষ্টা শুরু করতে পারেন । আর যদি আপনার শরীরের কিছু অসুবিধা থাকে তবে তা শুধরে নেওয়ার পরেই গর্ভধারণের চেষ্টা শুরু করবেন।
আপনার গর্ভধারণের (Pregnancy) চেষ্টা শুরু করার সময় আপনার বয়স কত হওয়া উচিত?
যদি আপনার বয়স ৩৫ এর নিচে হয় তাহলে আপনি সর্বোচ্চ এক বছর গর্ভধারণের চেষ্টা করার পর চিকিৎসকের কাছে যাবেন। আর যদি আপনার বয়স ৩৫ এর উপরে হয় তাহলে সর্বোচ্চ ছয় ৬ মাস চেষ্টা করার পরে চিকিৎসকের কাছে যাবেন। ৩৫ বছরের নিচের নারীরা ১ বছর চেষ্টা করার পূর্বে কখনোই ডক্টরের কাছে যাওয়া উচিত নয়। কেননা গর্ভধারণ করতে সময় লাগে আপনার শরীরির কেও এর জন্য প্রস্তুত হতে হয়।
আর ৩৫ বছরের উপরের সাধারণত কিছু কিছু শারীরিক সমস্যা হয়ে থাকে তাই তারা সর্বোচ্চ ৬ মাস চেষ্টা করেও যদি গর্ভধারণ করতে না, পারেন তাহলে চিকিৎসকের কাছে যাবেন। অনেকেই করেন কি ১-২-৩ মাস চেষ্টা করার পরেই কেন সে গর্ভধারণ করতে পারছেন না এ জন্য চিকিৎসকের কাছে চলে যান, এটা একদমই ভুল ধারণা। আপনি গর্ভধারণের চেষ্টা করবেন কিন্তু আপনাকে সঠিক সময় জেনে সঠিক নিয়ম জেনে চেষ্টা করতে হবে। অর্থাৎ আপনার ডিম্বপাত অথবা ওভুলেশনের সঠিক সময় জেনে স্বামীর সাথে মিলিত হতে হবে। যদি আপনি ওভুলেশনের সঠিক সময় স্বামীর সাথে মিলিত হতে না পারেন তাহলে এক বছর কেন পাঁচ বছর চেষ্টা করলেও আপনি গর্ভধারণ করতে পারবেন না। তাই ওভ্যুলেশনের সময় জানাটা প্রত্যেক নারীর জন্য অনেক জরুরী।
এখানে কিছু তথ্য আপনাদের কে জানিয়ে রাখতে চাই:
- ১) গর্ভধারণের চেষ্টা শুরু করার পর শতকরা ৩০ ভাগ নারী প্রথম মাসে গর্ভধারণ করেন।
- ২) প্রথম ৩ মাসের মধ্যে শতকরা ৬০ ভাগ নারী গর্ভধারণ করতে পারেন।
- ৩) প্রথম ৬ মাসের মধ্যে শতকরা ৮০ ভাগ নারী গর্ভধারণ করতে পারেন।
- ৪) প্রথমে ১ বছরের মধ্যে শতকরা ৯০ ভাগ নারী গর্ভধারণ করতে পারেন।
- ৫) আর প্রথম দু’বছরের মধ্যে শতকরা ৯৫ ভাগ নারী গর্ভধারণ করে থাকেন।
অর্থাৎ ১০০ জন নারী যদি গর্ভধারণের চেষ্টা করেন তাহলে ৯০ জন নারী এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ করবেন। আর দু বছরের মধ্যে ৯৫ জন গর্ভধারণ করতে পারবেন। তবে যে ৫ জন পারবেন না ,হয়তো তাদের কোনো শারীরিক সমস্যা আছে তাদের আই ইউ আই পদ্ধতির মাধ্যমে গর্ভধারণ করার চেষ্টা করতে হবে। অথবা সৃষ্টিকর্তা তাদের মধ্যে এমন কিছু দোষ রেখেছে যে তারা কখনোই গর্ভধারণ করতে পারবেনা। গর্ভধারণের ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষ উভয়ের সমস্যা থাকতে পারে , তাই কখনো নিজেকে দোষারোপ করা উচিত নয়।
এবারে আসি আপনি যদি গর্ভধারণের (Pregnancy) চেষ্টা শুরু করেন ওভ্যুলেশনের সময় টা কিভাবে জানবেন?
সাধারণত সুস্থ ও স্বাভাবিক মাসিকচক্রও তাকেই বলা হয় যেটি ২৮ থেকে ৩৫ দিনের মধ্যে ফিরে আসে অর্থাৎ আপনার মাসিক চক্র যদি ২৮ থেকে ৩৫ দিনের মধ্যে পুনরায় হতে থাকে তাহলে আপনি সুস্থ ও স্বাভাবিক। তবে এরচেয়ে বেশি যদি হয় তাহলে আপনাকে বুঝতে হবে আপনার মাসিকের সমস্যা রয়েছে। আপনার পিরিয়ড রিসাইকেল যদি ২৮ থেকে ৩৫ দিনের মধ্যে হয়। যেমন- কিছু কিছু নারীর ২৮ দিনের মধ্যেই পিরিয়ড হয়। আর কারো কারো ৩০ দিনের মধ্যে। কারো কারো ৩২ এভাবে সর্বোচ্চ ৩৫ দিনের মধ্যে পিরিয়ড হয়ে যায়।
তাহলে স্বাভাবিকভাবে আপনার পিরিয়ড সাইকেল চলছে ,তবে এরচেয়ে বেশি যদি হয় দু মাস তিন মাস তারপর যদি আপনার পিরিয়ড না হয় তাহলে আপনার জন্য ওভুলেশনের সঠিক সময় নির্ধারণ করার একটা খুব বেশি কঠিন হয়ে যাবে। সাধারণত যে সমস্ত নারীদের পিরিয়ড ২৮ নাম্বার দিনে হয়ে থাকে অর্থাৎ পুরো ২৮ দিন পর হয় তাদের ওভুলেশন হয় তাদের পিরিয়ডের ১৪ নাম্বার দিনে।
এই ব্যাপারটা আপনাদেরকে একটু ব্যাখ্যা করি- ধরুন আপনার পিরিয়ড হয়েছিল কোন মাসের ১ তারিখে সেই মাসের ১৪ তারিখে আপনার ওভুলেশন হবে যদি আপনার পিরিয়ড সাইকেল ২৮ দিনের হয়। আবার আপনার পিরিয়ড সাইকেল যদি ৩০ দিনের হয়- তাহলে আপনার ওভুলেশন হবে ১৬ নাম্বার দিনে তবে স্বাভাবিক ভাবে এই জিনিসটা বুঝতে অনেক সমস্যা হয়ে থাকে ,কারণ কারো কারো দেখা যায় ২৮ দিন পর পর পিরিয়ড হতে পারে! অথবা ৩০ দিন ৩২ দিন পর পর পিরিয়ড হতে পারে। তাহলে তাদের কোন সময় ওভুলেশন হবে? আপনি খেয়াল করবেন আপনার যেদিন পিরিয়ড শুরু হয়েছে অর্থাৎ কোন মাসের ১ তারিখে যদি আপনার পিরিয়ড শুরু হয়ে থাকে, তাহলে সেই মাসের ১১ নম্বর দিন থেকে
এবং ২০ নম্বর দিনের মধ্যে আপনার ওভুলেশন হবে এবং এর মধ্যে অবশ্যই আপনাকে স্বামীর সাথে মিলিত হতে হবে যদি আপনি গর্ভধারণ করতে চান। এ সময় স্বামীর সাথে মিলিত না হলে আপনি কোন ভাবেই গর্ভধারণ করতে পারবেন না।
অনেক নারীরই আছেন যাদের সামিরা হয়তো বাইরে কোথাও থাকেন, সঠিক সময়ে এসে তারা মিলিত হতে পারেন না , তাই তারা এক বছর চেষ্টা করলেও কিন্তু গর্ভধারণ করতে পারবেন না। সঠিক সময়ে আপনাদেরকে অবশ্যই ১ বছর মিলিত হওয়ার পরও যদি আপনি গর্ভধারণ করতে না পারেন তাহলে আপনি চিকিৎসকের কাছে অবশ্যই যাবেন।
এখন কথা হচ্ছে স্বাভাবিক পিরিয়ড সাইকেল যাদের আছে অর্থাৎ ২৮ থেকে ৩৫ দিনের মধ্যে যাদের পিরিয়ড হয়ে যায়, তারা তাদের পিরিয়ড শুরু ১১ নম্বর দিন থেকে ২০ নম্বর দিনের মধ্যে অবশ্যই স্বামীর সাথে একদিন বাদে সহবাস করতে হবে। পুরুষের স্প্যাম আপনার শরীরে তিন থেকে পাঁচ দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে, কিন্তু আপনার ডিম্বাণু শুধুমাত্র ২৮ থেকে ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত ই আপনার শরীরের বেঁচে থাকে। এই ১১ থেকে ২০ নম্বর দিনের মধ্যে স্বামীর সাথে ১দিন বা ২ দিন বাদে মিলিত হলে আপনার গর্ভধারণের সম্ভাবনা অনেক বেশী।
তবে একদিন বা ২ দিন বাদে এই কথা এজন্যই বলা হয়েছে যেন পুরুষের শরীরে তার স্পাম কোয়ালিটি বাড়তে পারে। প্রতিদিন সহবাসের মাধ্যমে স্পাম কোয়ালিটি কিছুটা দুর্বল হয়ে যেতে পারে, আর সেটা যদি কমে যায় তাহলে কিন্তু আপনার গর্ভধারণের চান্স কমে যাবে। তবে আপনার যদি অনিয়মিত মাসিক হয় অর্থাৎ কোন মাসে ৩৫ দিনের পর ৪০ দিনের পর বা দুই মাস পর পর আপনার মাসিক হচ্ছে, সে ক্ষেত্রে আপনার জন্য গর্ভধারণের প্রক্রিয়া টা একটু কঠিন হয়ে যাবে। তাই আপনারা চেষ্টা করুন ওভুলেশনের সঠিক সময় জেনে স্বামী সহবাসের মাধ্যমে গর্ভধারণ করতে ,গর্ভধারণ করার যখন আপনি চেষ্টা শুরু করবেন তখন দয়া করে ধূমপান, অ্যালকোহল, চা-কফি, ইত্যাদি খাওয়া বন্ধ রাখতে হবে।
কোন প্রকার স্ট্রেস নেওয়া যাবেনা ও ভারী কাজ করা যাবে না , এগুলো যদি আপনি করেন তাহলে কিন্তু আপনার গর্ভে সন্তান আসতে সময় লাগবে, পাশাপাশি অনেক সময় দেখা যায় সন্তান গর্ভে আসার পর সন্তান নষ্ট হয়ে যায়। সুস্থ জীবনযাপন হেলদি খাবার ও ওভুলেশনের সঠিক সময় জেনে স্বামী সহবাসের মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই গর্ভধারণ করতে পারবেন।
প্রেগনেন্ট হওয়ার পর কিভাবে বুঝবেন আপনার গর্ভে ছেলে নাকি মেয়ে?
পেটির মধ্যে শিশুর নড়াচড়া বলে দেবে গর্ভের সন্তান ছেলে নাকি মেয়ে শুনে অবাক হলেও এ কথাটি সত্য আগের দিনে এখনকার সময় এর মত বৈজ্ঞানিক উপায় ছিল না ,যে সন্তান জন্মের আগেই বলা যাবে সে ছেলে হবে নাকি মেয়ে। প্রকৃতি যে সমস্ত পার্থক্য নির্ধারণ করে দিতেন, একজন মায়ের মধ্যে মা তা দেখে বুঝতে পারতেন ,তার ছেলে সন্তান হবে নাকি মেয়ে। আর এখন সেই লক্ষণগুলোই জানাবো নড়াচড়ার মাধ্যমে কিভাবে আপনারা বুঝতে পারবেন আপনার গর্ভের সন্তান ছেলে নাকি মেয়ে।
নড়াচড়া দেখেই বুঝতে পারবেন গর্ভের সন্তান নাকি মেয়ে তবে এই পোস্টটি কোন ভাবেই ছেলে বা মেয়ের মধ্যে জেন্ডার ডিসক্রিমিনেশন করার উদ্দেশ্য না , আসলে একজন গর্ভবতী হওয়ার সাথে সাথেই কিছুদিনের মধ্যে তার মাথার প্রশ্ন আসতে থাকে, তার গর্ভের সন্তানটি ছেলে না মেয়ে অনেক ই আল্ট্রাসাউন্ড এর মাধ্যমে এটা জেনে থাকেন অথবা অনেকে আল্ট্রাসাউন্ডের মাধ্যমের না জেনে নিজেই পরীক্ষা করতে চান। শুধুমাত্র তাদের জন্য এই পোস্টটি যারা নিজেরাই গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে এটা পরীক্ষা করে বের করতে চান।
নড়াচড়া দেখে যেভাবে বুঝবেনঃ
১) প্রথমত বাচ্চার নড়াচড়া যদি তাড়াতাড়ি শুরু হয় তাহলে বুঝতে হবে সন্তানটি ছেলে। সম্ভবত ২০ সপ্তাহের পর থেকে বোঝা যায় সন্তানের নড়াচড়া। প্রথমবার গর্ভবতীরা সন্তানের নড়াচড়া অবস্থা কিছুটা সময় লেগে যায়। তবে দ্বিতীয় বা তৃতীয় গর্ভবতীরা খুব তাড়াতাড়ি সন্তানের নড়াচড়া বুঝতে পারেন। অনেক মা মাত্র ১৬ সপ্তাহের পর সন্তানের নড়াচড়া বুঝতে শুরু করেন, এক্ষেত্রে বলা যেতে পারে বাচ্চাটি হয়তো ছেলে, মেয়ে সন্তানের তুলনায় সন্তান গর্ভে নড়াচড়া আগেই শুরু করে দেয়।
৩) গর্ভে যখন ছেলে সন্তান থাকে এবং সে নড়াচড়া শুরু করে সে ক্ষেত্রে ছেলে সন্তান লাথি অনেক বেশি মারে ,গর্ভে থাকা বাচ্চার লাথি ও নড়াচড়া মধ্যে পার্থক্য বোঝা যায়। মেয়েরা পেটে বেশি নড়ে কিন্তু লাথি ছেলে সন্তানের মত আমারে না, আবার ছেলেরা তাদের ফুটবল খেলার দক্ষতা বোধহয় পেটে থাকতেই শুরু করে দেয়। বলা যায় ছেলেরা বেশি লাথি মারে মেয়ে বাচ্চার থেকে অবশ্য বাচ্চার এই গতিবিধি অনেকটা নির্ভর করে তার প্রতিস্থাপন ও নারীর অবস্থানের ওপরে। ছেলে সন্তান খুব একটা বেশি ছটফটে না হলেও আবার খুব একটা বেশি নড়াচড়া না করলেও যখন মায়ের পেটে লাথি মারে তখন মামা বেশ ভালোভাবে ব্যথা অনুভব করে। অপরপক্ষে সন্তানের লাথি এতটা বেশি জোরদার হয় না এবং মা তেমন কোনো ব্যথা অনুভব করে না, তবে বাচ্চা যখন দ্রুত নড়াচড়া করে সেটা বুঝতে পারে।
তাই এক্ষেত্রেও কিন্তু মা পার্থক্য করে নিতে পারেন মায়ের গর্ভে ছেলে সন্তান আছে নাকি মেয়ে সন্তান আছে এবং এছাড়াও মা পেটের আকৃতি দেখে অনেক সময় বুঝতে পারেন তার গর্ভের সন্তানটি ছেলে নাকি মেয়ে। বলা হয় যে পেটের আকৃতি বাস্কেট বলের মত হয়ে থাকে বুঝতে হবে গর্ভের সন্তানটি ছেলে। অপরপক্ষে পেটের আকৃতি যদি তরমুজের মত হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে বুঝতে হবে গর্ভের সন্তানটি মেয়ে, মাকে খেয়াল করতে হবে বাচ্চা পেটে থাকা অবস্থায় মায়ের পেট কেমন ভাবে রয়েছে। মায়ের পেট যদি নিচের চেয়ে বেশি উপরের দিকে বেশি ফলা দেখা যায়, তাহলে বুঝতে হবে গর্ভের সন্তানটি মেয়ে। সাধারণত বাচ্চা পেটে থাকলে তলপেট ও উপরের পেট দুটাই বৃদ্ধি পায়।
তবে যে সমস্ত মায়েদের পেটে মেয়ে সন্তান রয়েছে তাদের ওপরের পেটটা অনেকটাই ফুলে যায়। অপরদিকে পেটের অবস্থান যদি নিচের দিকে বেশি ঝুঁকে ঝুলে থাকে, সেক্ষেত্রে বুঝতে হবে গর্ভের সন্তানটি ছেলে। এই লক্ষণগুলো ও গর্ভের সন্তানের নাড়াচড়ার মাধ্যমে মা খুব সহজেই বুঝতে পারবেন। গর্ভের সন্তান ছেলে নাকি মেয়ে।
গর্ভধারণ বিষয়ে যদি আপনাদের কোন প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্ট বক্সে জানাবেন। ভালো লাগলে শেয়ার করে দিতে পারেন আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি ধন্যবাদ।
আরও জানতে ভিজিট করুন হেল্থ টিপস এরিয়া ।