Sea Food

সামুদ্রিক খাবার (sea food)

sea food

ঘুরে বেড়াতে কার না ভাল লাগে । কারো কাছে পছন্দ পাহাড়-পর্বত আর কারো কাছে পছন্দ সুবিশাল সাগর। কেউ ঘুরে  শখের বসে আর কেউবা অজানাকে জানার জন্য । তবে যেখানে ঘুরে বেড়ান না কেন দিন শেষে ঘুরে বেড়ানোর ফলে ক্ষুধা ও ক্যালরি যোগান দিতে অবশ্যই আপনাকে খাবার খেতে হবে। খাবারের ধরণ আবার একেক জায়গায় একেক রকম । যেমন ধরুন পাহাড়ে গেলে পাবেন পাহাড়ি খাবার, আবার ট্রাকিং গেলে হালকা খাবার ছাড়া একদমই হয় না, কারণ ভরপেট খেলে আপনি আবার চলতে পারবেন না। আবার ধরুন সমুদ্রে গেলে সামুদ্রিক খাবার বেশি প্রেফার করা হয় কারণ এটা আমরা আমাদের নিয়মিত খাদ্যাভ্যাসে খুব একটা থাকে না।

তো বন্ধুরা এই পর্বে আমরা আপনাদেরকে কিছু সামুদ্রিক খাবার সাথে পরিচয় করিয়ে দেব এবং সেইসাথে থাকবে-

  • সামুদ্রিক খাবার খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা
  • কোন সামুদ্রিক খাবার হালাল এবং কোন সামুদ্রিক খাবার হারাম।

তবে চলুন তাহলে শুরু করা জাক।

তো প্রথমেই চলুন কথা বলা যাক সামুদ্রিক (sea food)খাবারের ব্যাপারে-

ধরুন আপনি সেন্ট মার্টিনে বেড়াতে গেলেন আপনি ঘুরবেন ফিরবেন অথচ সি ফুট চেকে দেখবেন না তা কি হয় ? এখানে আপনারা বিভিন্ন রকমের সামুদ্রিক মাছ পাবেন যেমন সুন্দরী রূপচান্দা, টেক চান্দ, কোড়াল, সূর্মা ,সালমা, টুনা ইত্যাদি বিভিন্ন মাছ । এদের দামও আকার অনুসারে একেকটার একেকরকম । যেমন ধরুন কোড়াল মাছ  ছোট হলে ২৫০ থেকে ৩০০ বড় হলে সাড়ে ৫০০ থেকে ৬০০ মধ্যেই পেয়ে যাবেন। রূপচান্দা অথবা টেক চান্দা বা অন্যান্য যে চান্দাগুলো আছে সেগুলো আপনার ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকার মধ্যে পেয়ে যাবেন। তবে সেন্টমার্টিনে দেখলাম সবচেয়ে কম দাম হচ্ছে  টুনা মাছ এর, এই মাছের দাম ২৫০ থেকে ৩০০  এর মধ্যে। তবে হ্যাঁ বন্ধুরা যারা সেন্টমার্টিন গিয়ে সামুদ্রিক মাছ খাবেন তারা অবশ্যই দরদাম করে নেবেন।

এছাড়াও বন্ধুরা এখানে আপনারা মসলা মাখানো মাছ ও পেয়ে যাবেন। অর্ডার দিলে তারা আপনাকে সাথে সাথেই ভেজে দিবে। আর হ্যাঁ যারা শুধু মাছ খেয়েই তৃপ্ত বা ক্ষান্ত হতে চান না আমার মত , তারা সামুদ্রিক কিছু প্রাণী ও চেখে দেখতে পারেন।

সামুদ্রিক প্রাণীদের মধ্যে সেন্ট মার্টিনে সবচেয়ে বেশি যেটা পাওয়া যায় সেটা হচ্ছে কাকড়া। এটা খুবই সহজলভ্য এবং দারুন খেতে ,এছাড়াও পাওয়া যায় অক্টোপাস ইত্যাদি। এদের দামও আকার ভেদে বিভিন্ন রকমের । যেমন ধরুন বড় কাঁকড়া ১২০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা। ছোট কাকড়া ৮০ থেকে ১০০ টাকা। আর লবস্টার আকার অনুযায়ী ২৫০ থেকে ৪৫০ টাকা। স্কুইড এবং অক্টোপাস ৪৫০ থেকে সাড়ে ৫৫০ টাকা। 

আমি যখন সেন্ট মার্টিন এ গিয়েছিলাম তখন সি ফুড খাওয়ার সময় আমরা পাঁচটা বড় কাঁকড়া নিয়েছিলাম যার দাম নিয়েছিল ১২০ টাকা করে। এবং যখন কাঁকড়াটি রেডি করে আমাদের পরিবেশন করা হয় তখন খেতেও দারুন লাগছিল। তো আপনারা যারা সেন্ট মার্টিনে গিয়ে সামুদ্রিক খাবার খাবেন এই কথা চিন্তা করছেন তারা নোনা জল রিসোর্ট নামে একটি রেস্টুরেন্টে খাওয়া সেরে ফেলতে পারেন। ওখানকার স্টাফরা খুবই হেল্পফুল এবং ভালো ব্যবহার করেন।

সামুদ্রিক খাবার (sea food) খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা-

এবার কথা বলব সামুদ্রিক খাবার গ্রহণে আমাদের যেই সচেতনতা গুলো থাকা উচিৎ যে বিষয়গুলো জানা উচিত যেমন সেলফিস সহ বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছ লবস্টার, ওয়েস্টার, স্কুইট , সহ বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক খাবার দেশে বেশ জনপ্রিয় হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে দেশে অনেকে খাদ্য তালিকায় যুক্ত হয়েছে এমন নানান সামুদ্রিক খাবার। এসব খাবারের বেশ কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতাও রয়েছে তবে সামুদ্রিক খাবার গ্রহণের কিছু সতর্কতাঃ মেনে চলাও ভালো। এবার জেনে নিব সামাজিক খাবারে কি কি পুষ্টি গুণ রয়েছে. এর পাশাপাশি কোন কোন ক্ষেত্রে সর্তকতা অবলম্বন করা উচিত কাদের সামুদ্রিক খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। (sea food)

চলুন প্রথমে আমরা জেনে নিই সামুদ্রিক খাবারের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা-

সামুদ্রিক খাবার পুষ্টিগুণে ভরপুর বিশেষত সামুদ্রিক মাছ যেমন- সেলফিশ, শ্যামন, উচ্চমাত্রার প্রোটিন কিছু নির্দিষ্ট ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে খাবারের পাতে ৮৫ গ্রাম সামুদ্রিক মাছ মানবদেহে জিংকের দৈনিক চাহিদা ২১ ভাগ, রুহের ১৩ ভাগ, সেলেনিয়ামের ৯৯ ভাগ এবং ভিটামিন বি টুয়েলভ এর শতভাগ চাহিদা পূরণে সক্ষম। যারা হূদরোগ উচ্চ রক্তচাপ , সলিপিডেমিয়ে ভুগছেন তারা গরু খাসি মাংস , মুরগির মাংস এর মত অনেক খাবার খেতে পারেন না। তাদের জন্য উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ সামুদ্রিক খাবার চমৎকার একটি বিকল্প হতে পারে।

সামুদ্রিক খাবার ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড এর অন্যতম উৎস যা হূদেরাগের ঝুঁকি কমায় ও নার্ভাস সিস্টেমকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। সেমন, সার্টিন, ওয়েস্টার মাছে উচ্চমাত্রায় ভিটামিন ডি রয়েছে। যা হাড়ের জন্য অতি প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়ামের যোগান দেয়। 

এখন আমরা বলবো যে কোন কোন ক্ষেত্রে সর্তকতা অবলম্বন করা উচিত এবং কাদের সামুদ্রিক খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত

সামুদ্রিক খাবারে উচ্চমাত্রার মার্কারি রয়েছে তাই গর্ভাবস্থায় সামুদ্রিক খাবার খাওয়া মা ও শিশুর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। সুতরাং গর্ভাবস্থায় সামুদ্রিক মাছ খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। এক্ষেত্রে ইলিশ থেকে ওমেগা-থ্রি এর চাহিদা পূরণ করা উত্তম।  (sea food)

যাদের উক্তি পিউরিন ইউরিক এসিডের মাত্রা বেশি কিংবা যারা দীর্ঘদিন ধরে বাতের সমস্যায় ভুগছেন তারা সামুদ্রিক মাছ এড়িয়ে চলবেন। সামুদ্রিক মাছ কিংবা খাবারে প্রোটিন ও মিনারেলের পরিমাণ অনেক বেশি, সামুদ্রিক খাবার বা শুকনো সামুদ্রিক মাছে সোডিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকে। তাই যাদের উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের রোগীদের অল্প পরিমাণে খেতে হবে বা খাওয়া থেকে বিরত থাকাই উত্তম।

ওয়েস্টার্স, স্কুইট , ইত্যাদি সামুদ্রিক খাবার খেলে অনেকে এলার্জি দেখা দেয়। অনেক সময় তাৎক্ষণিক শ্বাসকষ্ট শুরু হতে পারে, তাই যাদের অ্যালার্জির সমস্যা আছে তার আগে থেকেই না জেনেই নতুন কোন সামুদ্রিক খাবার খাবেন না। বিশেষভাবে মনে রাখতে হবে কাঁচা বা অর্থ সিদ্ধ করে সামুদ্রিক খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।

কোন সামুদ্রিক খাবার হালাল এবং কোন সামুদ্রিক খাবার (sea food) হারাম-

বেশ কিছুদিন ধরে আমরা অনলাইনে চাইনিজদের বিভিন্ন রকম উল্টোপাল্টা খাবার খাওয়ার ভিডিও দেখেছি এর মধ্যে যেমন অক্টোপাস শামুক-ঝিনুক সহ বিভিন্ন রকম প্রাণী তারা খেয়ে থাকেন এবং আমরা সেগুলো দেখে গা ঘিনঘিন করে আমাদের ঘেন্না করে কিন্তু আপনারা কি জানেন এর মধ্যে অনেক প্রাণী রয়েছে যেগুলো মুসলমানদের জন্য খাওয়া হালাল? অথচ এই সমস্ত খাবার গুলো আমাদের খাওয়ার অভ্যাস নেই বলে আমরা এগুলো ঘিন্না করে থাকি। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এগুলো খাওয়ায় কোনো বাধা নেই, ইসলামের দৃষ্টিতে যারা মুসলিম তারা চাইলে এগুলো খেতে পারে ,কিন্তু খাওয়ার ব্যাপারে বাধ্যবাধকতা নেই। যে আপনাকে খেতেই হবে, আপনার ইচ্ছা হলে খেতে পারেন, ইচ্ছা না হলে নাও পেতে পারেন। সেটা একমাত্র আপনার পছন্দের উপরে নির্ভর করে। এখন আমরা এমন কিছু প্রাণীর কথা বলব যেগুলো খাওয়া প্রকৃতপক্ষে হালাল এবং আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খেতে নিষেধ করেন নি, এবং আলেমগণ এ ব্যাপারে একমত পোষণ করেছেন। (sea food)

আসুন তাহলে জেনে নিন কোন প্রাণী গুলো খাওয়া যাবে কোন প্রাণী গুলো খাওয়া যাবেনা-

কুরআন এবং হাদিসের মতে কোন প্রাণী গুলো আমাদের জন্য খাওয়া হালাল এবং হারাম আপনি যদি এই বিষয়ে জানতে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে পুরো পোস্টটি চেষ্টা করুন পড়ার নতুন কিছু জানতে পারবেন।  এগুলো জানার পরে আপনি হয়তোবা বাকি জীবনে আর কখনোই খাবারগুলোকে ঘৃনা করবেন না, আজকে আমরা জানবো- 

  • কুমির 
  • তিমি মাছ 
  • ব্যাঙ 
  • কাঁকড়া ,কচ্ছপ
  •  অক্টোপাস 
  •  শামুক-ঝিনুক ইত্যাদি 

এই খাবারগুলো কি হালাল নাকি হারাম এগুলো জানার আগে আমরা জেনে আসি কুরআনে আল্লাহপাক আমাদেরকে কি বলেছেন- সূরা মায়েদার ৯৬ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে- তোমাদের জন্য সমুদ্রের শিকার ও সমুদ্রের খাদ্য হালাল করা হয়েছে তোমাদের উপকারার্থে অতএব আমরা এই কুরআনের আয়াত দ্বারা বুঝতে পারলাম সমুদ্রের প্রাণী খাওয়া হালাল। যেগুলো আমাদের উপকারে আসে।

 সূরা আল-আনআম এর ৫ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে- আপনি বলে দিন যা কিছু বিধান ওহীর মাধ্যমে আমার কাছে পৌঁছেছে তন্মধ্য আমি কোন হারাম খাদ্য পাইনা কোন ভক্ষণকারীর জন্য যা সে ভক্ষণ করে কিন্তু মৃত অথবা প্রবাহিত রক্ত অথবা শূকরের মাংস এটা অপবিত্র অবৈধ।

সূরা আল-আম এর পাঁচ নম্বর আয়াত থেকে আমরা বুঝতে পারলাম আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সকল কিছু হালাল করেছেন শুধুমাত্র শুকুরের মাংস, মৃত প্রাণী, রক্ত অবৈধ রাসুল সাঃ বলেন নদী বা সাগরের পানি পবিত্র এবং পানিতে বসবাসকারী মৃত প্রাণী ও খাওয়া বৈধ। আবু দাউদ ৮৩ নম্বর হাদিস অতএব আমরা এই হাদীস দ্বারা বুঝতে পারলাম নদী বা সাগরের মৃত প্রাণী খাওয়া সম্পূর্ণ জায়েজ। সেটা কিন্তু আবার ডাঙ্গায় থাকা কোন প্রাণী দের ব্যাপারে বলা হয়নি। নদী সমুদ্রে যে প্রাণী গুলো থাকে তাদেরকে মৃত অবস্থায় পেলে খাওয়া জায়েজ হবে।  (sea food)

রাসুল সাঃ আরো একটি হাদিস দ্বারা আমরা জানতে পারি তা হচ্ছে- পানিতে বসবাসকারী সকল প্রাণী খাওয়া বৈধ বুখারী ৫- ২ হাজার ৯১ নম্বর হাদিস আর এই হাদিস দ্বারা আমরা এটাই বুঝতে পারলাম যে রাসুল সাঃ বলেছেন পানিতে সাধারণত যে প্রাণীগুলো বাস করে তাদেরকে খাওয়া জায়েজ কিন্তু এই প্রাণীগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা দ্বারা প্রমাণিত হবে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর সেগুলো হারাম। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন আল্লাহ ও তাঁর কিতাবে যা হালাল করেছেন তা হালাল। আর যা হারাম করেছেন তা হারাম, আর যে বিষয়টি তিনি নীরব থাকেন তা ক্ষমা সুতরাং তোমরা আল্লাহর কুদরত ক্ষমা কে গ্রহণ করো।  কেননা আল্লাহ তাআলা বিস্মিত হন না তারপর তিনি এই আয়াত পাঠ করেন তোমাদের প্রতিপালক বিস্মৃত হননা বা ভুলে যান না।

সূরা মারইয়াম ৬৪ নম্বর আয়াত তাছাড়া ইসলামের একটি মূলনীতি হলো দুনিয়ার সকল কিছুই বৈধ যতক্ষণ না ইসলামের সেই ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা পাওয়া যায়। আর কাঁকড়া, অক্টোপাস, শামুক-ঝিনুক, ইত্যাদি খাওয়ার ব্যাপারে কুরআন এবং সুন্নাহর নিষেধাজ্ঞা পাওয়া যায়না বৈধতার ব্যাপারে কোনো বাধা নেই ,এগুলো মাকরূহ প্রমাণসাপেক্ষ নয় তবে কারো যদি তা খেতে রুচি না হয় তবে সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু এগুলোকে হারাম না মাকরুহ বলা কোনো যৌক্তিকতা নেই। (sea food)

 

ব্যাঙ খাওয়ার ব্যাপারে বিধান-

যে সকল ব্যাঙ পানি ছাড়া বাঁচেনা সেগুলো খাওয়া হারাম। কেননা হাদিস ব্যাঙ হত্যার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা করেছেন এ ব্যাপারে হাদিস হলো আব্দুর রহমান ইবনে উমান রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে বর্ণিত কোন চিকিৎসক রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করেন ব্যাঙ প্রসঙ্গে এটা কোন ঔষধ প্রয়োগ করবেন কিনা সে ব্যাপারে জানতে। রাসূল সাঃ এটা হত্যা করতে নিষেধ করেন, আহমদ ১৫ হাজার ৩৩০ নম্বর হাদিস আবু দাউদ ৩৮৭১ নম্বর হাদিস আর শরীয়ার একটি মূলনীতি হলো যে প্রাণী হত্যা করা হারাম তা খাওয়াও হারাম। সেটা খাওয়া হালাল হলে তা হত্যা করা বৈধ হতো। সুতরাং আমরা বুঝতে পারি ব্যাঙ খাওয়া সম্পূর্ণ হারাম এবং শুধু খাওয়ায় নয় ব্যাঙ মারাও হারাম। আশা করি আপনারা এই পাপের কাজ থেকে দূরে থাকবেন।

 

কুমির খাওয়ার ব্যাপারে ইসলাম কি বলে?

কুমিরের ব্যাপারে আলেমদের বিভিন্ন মতামত পাওয়া যায় তবে ইমাম মালেক ছাড়া অন্যান্য ইমামগণ যেমন- ইমাম আবু হানিফা, শাফি , আহমদ বিন হাম্বল, তথা অধিকাংশ ইমামদের মতেই কুমির খাওয়া হারাম কারণ এটি উভচর প্রাণী অর্থাৎ কুমির যেমন পানিতে বাস করে তেমনি বন এবং জঙ্গলে ও বাস করে সেই সাথে এটির বড় বড় দাঁত বিশিষ্ট প্রাণী আর হাদিসে বড় দাঁত বা বড় নখ বিশিষ্ট প্রাণী দের খাওয়া হারাম ঘোষণা করা হয়েছে , আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন লম্বা দ্বন্দ্ব বিশিষ্ট সকল হিংস্র পশুর মাংস খাওয়া হারাম।

সহিঃ মুসলিম ১৩৩৩ নম্বর এবং আরো একটি বিষয় রয়েছে তা হচ্ছে যদি কোন পরীক্ষা-নিরীক্ষা বা বস্তুত কোন অভিজ্ঞতা দ্বারা কোন প্রাণীর গোশত খাওয়া ক্ষতিকর প্রমাণিত হয় তাহলে তা খাওয়া হারাম তা সমুদ্র বা নদী যেখানের প্রাণীই হোক না কেন। কেননা আল্লাহ তা’আলা বলেন- আর তোমাদের নিজেদের কে হত্যা করো না নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু।  সূরা নিসা ২৯ নম্বর আয়াত তিনি আরো বলেন- তোমরা নিজেদের জীবনকে ধ্বংসের মুখে ফেলোনা। সূরা বাকারা ১৯৫ নম্বর আয়াত,

সুতরাং এই আয়াত দ্বারা আমরা বুঝতে পারি যে গুলো আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর বা জা খেলে আমাদের শরীরে কোন প্রকার ক্ষতি হবে বা ক্ষতির মাত্রা বেশি খাওয়া ইসলামে সম্পূর্ণ হারাম। হাদিস কুরআন এবং ইসলামিক বিশেষজ্ঞদের দ্বারা এটাই প্রমাণিত হলো যে ইসলামের দৃষ্টিতে ক্ষতিকর বলে প্রমাণিত এবং হারাম ঘোষিত প্রাণী ব্যতীত সমস্ত সকল সামুদ্রিক প্রাণী খাওয়া হালাল সুতরাং এই দৃষ্টিতে তিমি মাছ, কাঁকড়া, অক্টোপাস, শামুক-ঝিনুক , সবই হালাল প্রাণীর অন্তর্ভুক্ত।

আরও জানতে ভিজিট করুন হেল্‌থ টিপস এরিয়া ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *